EN AR

শীঘ্রই আসছে!
আমাদের নতুন ও উন্নত সেবা খুব শীঘ্রই আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ধৈর্য ধরুন, আমরা কিছু চমকপ্রদ ফিচার নিয়ে আসছি! 🚀

⚠️ ডাউনটাইমের জন্য দুঃখ প্রকাশ:

দুঃখিত, আমরা সাময়িকভাবে অফলাইনে আছি।
আমাদের সাইটটি আপডেট এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে।
আমরা শীঘ্রই ফিরে আসব আরও দ্রুত, নিরাপদ এবং উন্নত সেবা নিয়ে।
আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য! 🙏

বিশৃঙ্খলায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আছে কি না জানার চেষ্টা করব : মেজর হাফিজ

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম কর্তৃক ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ সারাদেশে গতকাল রাত থেকে চলা ঘটনার বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছেন এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কি ভূমিকা ছিল সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সব কিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন সকল পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোভাব মিডিয়ার সামনে জনগণের সামনে প্রকাশিত করব। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’ ‘তবে আমরা আশা করি, এগুলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য হয়তো, আগামীদিনের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই জন্য কেউ কেউ হয়তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে এর মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কি না সেটিও আমরা জানার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘কুখ্যাত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য পেশী শক্তির বারংবার ব্যবহার করেছেন। আমাদের স্মরণ শক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কিভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনারা আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।' বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনো নতুন রাজনৈতিক দল বানায়, আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরো একটি চয়েজ বাড়ল। যেদিনই নির্বাচন হবে নিশ্চয়ই সব রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করবে। ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল যথেষ্ট সময় পেয়েছে, তারা আরো সময় চায়। তবে আমরা অবশ্যই মনে করি, এই বছরই পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এবং বর্তমান সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি যত রকমের বিশৃঙ্খলা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা যত ধরনের অনুসঙ্গ, গণতন্ত্রের বিরোধীদের আভাস আমরা পাচ্ছি, এগুলো দূর করতে হলে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে নানা ধরণের সংস্কারকে পূর্ব শর্ত দেয়া হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সংবিধান সংস্কারের কথা বলেছেন, একটি গ্রুপ বলেছেন ‘৭২ এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ‘৭২ এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো সংবিধানে সংযোজন করা যায়। কিন্তু যাই হউক, নতুন করে সংবিধান লেখা হউক বা সংশোধন করা হউক- এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।’ তিনি বলেন, ‘কোনো বুদ্ধিজীবী, কারো কোনো গুরু বা কোনো সৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন পার্লামেন্ট। নিরপেক্ষভাবে একটি পার্লামেন্ট। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি, আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।’ স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

১ মিনিট আগে

৬৫৩১ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল: হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। একইসঙ্গে আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কোটা পদ্ধিত অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

১৫ মিনিট আগে

রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী শাওন গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছেন ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আজ রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাওনকে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হচ্ছে। ডিবি হেফাজতে তাকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুক্রবার তাকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে উত্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

২২ মিনিট আগে

দেশি-বিদেশি মিডিয়া নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

ঢাকা: দেশি-বিদেশি মিডিয়া নিয়ে খুব শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস উইং জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রধান উপদেষ্টা যত দ্রুত সম্ভব ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন। দেশি-বিদেশি মিডিয়া উনার সঙ্গে থাকবেন। রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পরিবহন, ব্যাপকহারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে এ সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয় বলেও জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। আয়নাঘর কী? বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাউন্টার-টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (সিটিআইবি) পরিচালিত একটি গোপন আটক কেন্দ্রের নাম হলো আয়নাঘর। ধারণা করা হয়, এখানে (আয়নাঘর) কমপক্ষে ১৬টি কক্ষ আছে, যেখানে একসঙ্গে ৩০ বন্দি রাখার সক্ষমতা রয়েছে। গুমের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা লুকাতে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ৫ আগস্টের পর ‘আয়নাঘরের’ প্রমাণাদি নষ্ট করেছে বলে জানিয়েছে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন। চলতি বছর ২০ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রকাশিত গুম কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অংশে এ তথ্য জানা গেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলের গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন ২৬ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআই কার্যালয়ের ভেতরে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) পরিদর্শন করে। এই সেলই ‘আয়নাঘর’ বলে পরিচিতি পায়। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর ডিজিএফআই সদর দপ্তরে ইন্টারোগেশন সেলের কাঠামোগত আংশিক পরিবর্তন করা হয়েছে, দেয়ালে রং করা হয়েছে, যেখানে বন্দিরা অনেক কিছু লিখেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু প্রমাণ আমাদের (গুম তদন্ত কমিশন) পরিদর্শনের আগের দিনই নষ্ট করা হয়। পরিদর্শনের কথা জানানোর পরও আমরা পরিদর্শনের সময় দেয়ালে কাঁচা রং দেখতে পেয়েছি। ভেজা রং এবং অসম্পূর্ণ কাঠামোগত পরিবর্তন স্পষ্টই তাড়াহুড়ো করে অপরাধ গোপনের চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। গুম তদন্ত কমিশন যখন ডিজিএফআই কার্যালয় পরিদর্শন করে তখন মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ছিলেন। পরে ১৭ অক্টোবর তাকে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তৎকালীন ডিজি শক্ত যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি তার মেয়াদের আগে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। প্রমাণ নষ্টের ক্ষেত্রে তার এমন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দায়মুক্তির সংস্কৃতির জবরদস্তিমূলক ক্ষমতার প্রকাশ। আগেকার অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য তার এমন উদ্যোগ ছিল ব্যক্তিগত স্বার্থে এবং পেশাগত সততার বিরুদ্ধে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গুম তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে তাদের বেশিরভাগই নিজেদের অপরাধের জন্য কখনো জবাবদিহি করবেন বলে আশা করেননি। তারা অপরাধকে অপরাধ হিসেবেও দেখেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রমাণ নষ্ট করার এবং অসহযোগিতার এমন ধরন শুধু ডিজিএফআই নয়, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো গত ১৫ বছর ব্যবহার করেছে। এটি শুধু ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন এবং নিজেদের অপরাধ লুকাতে চেয়েছিলেন তারাই নন, পরবর্তীতে যারা বিভিন্ন শীর্ষপদে বসেছেন তারাও করেছেন। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

২৫ মিনিট আগে

হাসিনাকে থামান, দিল্লিকে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ

উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। আমরা ভারতের কাছে আগেও আহ্বান জানিয়েছিলাম, শেখ হাসিনা যেন সেখান থেকে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। তিনি গতকাল আবার বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য ভারতের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদ নোটের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। কারণ শেখ হাসিনার এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে। মন্ত্রণালয় আরও জোর দিয়ে বলেছে যে, তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার চেতনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকা অবস্থায় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবহার করে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কাছ থেকে সহযোগিতা বা মদদ পাচ্ছেন কিনা-জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার জবাব দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। আমার মনে হয় ভারতীয়তা আরও ভালো জবাব দিতে পারবেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছেন না। কিন্তু উনি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এটা করছেন এবং যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন সেগুলো আন্তর্জাতিক, আমেরিকা ভিত্তিক ইত্যাদি। এটা হলো ভারতের অবস্থান। এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, সবগুলোতো আর আমাদের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হয় না, সেখানে কিছু গোপনীয় আছে কি না আমার জানা নেই। তবে, বাই অ্যান্ড লার্জ যে চুক্তি হয়ে থাকে, সেগুলো কিন্তু ওপেন। এখানে গোপনীয় কিছু নেই। তবে অসামাঞ্জস্য চুক্তির কথা যদি বলেন, আপনি দর কষাকষি যদি করেন, সেটা করবেন চুক্তির আগে। আর চুক্তির পর পর্যালোচনা করতে যান, তাহলে সেটা দুই পক্ষ মিলেই করতে হবে। এক তরফাভাবে বাতিল করতে পারবেন না। উপদেষ্টা বলেন, আদানির চুক্তি একটি খারাপ চুক্তি, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এ চুক্তিতে যারা দর কষাকষি করেছিলেন, তারা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি। সে হিসেবে বলেছি, এটা খারাপ চুক্তি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখনও তারিখ ঠিক করিনি কবে আসবেন। তবে আমরা ধরে নিচ্ছি উনি আসবেন একটু সময় লাগবে। আমার অনুমান হয়ত এপ্রিল মাসের কোনো এক সময় আসবে, এর আগে নয়। কাজেই এখনও প্রচুর সময় আছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে অমীমাংসিত বিষয় বিশেষ করে একাত্তরের জন্য ক্ষমা চাওয়া কিংবা বাংলাদেশের পাওনার বিষয় আসবে কিনা-জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ৫৩-৫৪ বছরের অমীমাংসিত বিষয় আছে। এগুলো আমরা নিশ্চই সেখানে উল্লেখ করব। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া, যদি শুধু ওই ইস্যুগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে তাদের ও আমাদের কোনো লাভ নেই। উপদেষ্টা বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমরা চাইব, বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন অন্য দেশের যেমন সম্পর্ক পাকিস্তানের সঙ্গেও ঠিক সেরকম এ থাকবে। আলাদা করে সেই সম্পর্কটা খারাপ করার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানের স্বার্থ সম্পর্ক আছে। যেমন-জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে, এটার তো কিছু লাভ আছে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের বেশিরভাগ লাভ যেন আদায় করতে পারি।

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

৩০ মিনিট আগে

বিশৃঙ্খলায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আছে কি না জানার চেষ্টা করব : মেজর হাফিজ

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম কর্তৃক ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ সারাদেশে গতকাল রাত থেকে চলা ঘটনার বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছেন এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কি ভূমিকা ছিল সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সব কিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন সকল পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোভাব মিডিয়ার সামনে জনগণের সামনে প্রকাশিত করব। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’ ‘তবে আমরা আশা করি, এগুলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য হয়তো, আগামীদিনের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই জন্য কেউ কেউ হয়তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে এর মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কি না সেটিও আমরা জানার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘কুখ্যাত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য পেশী শক্তির বারংবার ব্যবহার করেছেন। আমাদের স্মরণ শক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কিভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনারা আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।' বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনো নতুন রাজনৈতিক দল বানায়, আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরো একটি চয়েজ বাড়ল। যেদিনই নির্বাচন হবে নিশ্চয়ই সব রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করবে। ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল যথেষ্ট সময় পেয়েছে, তারা আরো সময় চায়। তবে আমরা অবশ্যই মনে করি, এই বছরই পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এবং বর্তমান সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি যত রকমের বিশৃঙ্খলা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা যত ধরনের অনুসঙ্গ, গণতন্ত্রের বিরোধীদের আভাস আমরা পাচ্ছি, এগুলো দূর করতে হলে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে নানা ধরণের সংস্কারকে পূর্ব শর্ত দেয়া হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। সংবিধান সংস্কারের কথা বলেছেন, একটি গ্রুপ বলেছেন ‘৭২ এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ‘৭২ এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো সংবিধানে সংযোজন করা যায়। কিন্তু যাই হউক, নতুন করে সংবিধান লেখা হউক বা সংশোধন করা হউক- এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।’ তিনি বলেন, ‘কোনো বুদ্ধিজীবী, কারো কোনো গুরু বা কোনো সৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন পার্লামেন্ট। নিরপেক্ষভাবে একটি পার্লামেন্ট। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি, আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।’ স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

১ মিনিট আগে

৬৫৩১ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল: হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। একইসঙ্গে আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কোটা পদ্ধিত অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

১৫ মিনিট আগে

রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী শাওন গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছেন ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আজ রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাওনকে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হচ্ছে। ডিবি হেফাজতে তাকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুক্রবার তাকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে উত্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

২২ মিনিট আগে

দেশি-বিদেশি মিডিয়া নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

ঢাকা: দেশি-বিদেশি মিডিয়া নিয়ে খুব শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস উইং জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রধান উপদেষ্টা যত দ্রুত সম্ভব ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে যাবেন। দেশি-বিদেশি মিডিয়া উনার সঙ্গে থাকবেন। রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পরিবহন, ব্যাপকহারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে এ সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয় বলেও জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। আয়নাঘর কী? বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাউন্টার-টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (সিটিআইবি) পরিচালিত একটি গোপন আটক কেন্দ্রের নাম হলো আয়নাঘর। ধারণা করা হয়, এখানে (আয়নাঘর) কমপক্ষে ১৬টি কক্ষ আছে, যেখানে একসঙ্গে ৩০ বন্দি রাখার সক্ষমতা রয়েছে। গুমের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা লুকাতে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ৫ আগস্টের পর ‘আয়নাঘরের’ প্রমাণাদি নষ্ট করেছে বলে জানিয়েছে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন। চলতি বছর ২০ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রকাশিত গুম কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অংশে এ তথ্য জানা গেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলের গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন ২৬ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআই কার্যালয়ের ভেতরে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) পরিদর্শন করে। এই সেলই ‘আয়নাঘর’ বলে পরিচিতি পায়। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর ডিজিএফআই সদর দপ্তরে ইন্টারোগেশন সেলের কাঠামোগত আংশিক পরিবর্তন করা হয়েছে, দেয়ালে রং করা হয়েছে, যেখানে বন্দিরা অনেক কিছু লিখেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু প্রমাণ আমাদের (গুম তদন্ত কমিশন) পরিদর্শনের আগের দিনই নষ্ট করা হয়। পরিদর্শনের কথা জানানোর পরও আমরা পরিদর্শনের সময় দেয়ালে কাঁচা রং দেখতে পেয়েছি। ভেজা রং এবং অসম্পূর্ণ কাঠামোগত পরিবর্তন স্পষ্টই তাড়াহুড়ো করে অপরাধ গোপনের চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। গুম তদন্ত কমিশন যখন ডিজিএফআই কার্যালয় পরিদর্শন করে তখন মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ছিলেন। পরে ১৭ অক্টোবর তাকে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তৎকালীন ডিজি শক্ত যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি তার মেয়াদের আগে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। প্রমাণ নষ্টের ক্ষেত্রে তার এমন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দায়মুক্তির সংস্কৃতির জবরদস্তিমূলক ক্ষমতার প্রকাশ। আগেকার অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য তার এমন উদ্যোগ ছিল ব্যক্তিগত স্বার্থে এবং পেশাগত সততার বিরুদ্ধে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গুম তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে তাদের বেশিরভাগই নিজেদের অপরাধের জন্য কখনো জবাবদিহি করবেন বলে আশা করেননি। তারা অপরাধকে অপরাধ হিসেবেও দেখেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রমাণ নষ্ট করার এবং অসহযোগিতার এমন ধরন শুধু ডিজিএফআই নয়, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো গত ১৫ বছর ব্যবহার করেছে। এটি শুধু ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন এবং নিজেদের অপরাধ লুকাতে চেয়েছিলেন তারাই নন, পরবর্তীতে যারা বিভিন্ন শীর্ষপদে বসেছেন তারাও করেছেন। এমএম/

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

২৫ মিনিট আগে

হাসিনাকে থামান, দিল্লিকে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ

উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। আমরা ভারতের কাছে আগেও আহ্বান জানিয়েছিলাম, শেখ হাসিনা যেন সেখান থেকে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। তিনি গতকাল আবার বক্তব্য দিয়েছেন। এজন্য ভারতের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদ নোটের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। কারণ শেখ হাসিনার এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে। মন্ত্রণালয় আরও জোর দিয়ে বলেছে যে, তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার চেতনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকা অবস্থায় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবহার করে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কাছ থেকে সহযোগিতা বা মদদ পাচ্ছেন কিনা-জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার জবাব দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। আমার মনে হয় ভারতীয়তা আরও ভালো জবাব দিতে পারবেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছেন না। কিন্তু উনি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এটা করছেন এবং যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন সেগুলো আন্তর্জাতিক, আমেরিকা ভিত্তিক ইত্যাদি। এটা হলো ভারতের অবস্থান। এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, সবগুলোতো আর আমাদের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হয় না, সেখানে কিছু গোপনীয় আছে কি না আমার জানা নেই। তবে, বাই অ্যান্ড লার্জ যে চুক্তি হয়ে থাকে, সেগুলো কিন্তু ওপেন। এখানে গোপনীয় কিছু নেই। তবে অসামাঞ্জস্য চুক্তির কথা যদি বলেন, আপনি দর কষাকষি যদি করেন, সেটা করবেন চুক্তির আগে। আর চুক্তির পর পর্যালোচনা করতে যান, তাহলে সেটা দুই পক্ষ মিলেই করতে হবে। এক তরফাভাবে বাতিল করতে পারবেন না। উপদেষ্টা বলেন, আদানির চুক্তি একটি খারাপ চুক্তি, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এ চুক্তিতে যারা দর কষাকষি করেছিলেন, তারা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি। সে হিসেবে বলেছি, এটা খারাপ চুক্তি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখনও তারিখ ঠিক করিনি কবে আসবেন। তবে আমরা ধরে নিচ্ছি উনি আসবেন একটু সময় লাগবে। আমার অনুমান হয়ত এপ্রিল মাসের কোনো এক সময় আসবে, এর আগে নয়। কাজেই এখনও প্রচুর সময় আছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে অমীমাংসিত বিষয় বিশেষ করে একাত্তরের জন্য ক্ষমা চাওয়া কিংবা বাংলাদেশের পাওনার বিষয় আসবে কিনা-জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ৫৩-৫৪ বছরের অমীমাংসিত বিষয় আছে। এগুলো আমরা নিশ্চই সেখানে উল্লেখ করব। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া, যদি শুধু ওই ইস্যুগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে তাদের ও আমাদের কোনো লাভ নেই। উপদেষ্টা বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করব। পাশাপাশি আমরা চাইব, বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন অন্য দেশের যেমন সম্পর্ক পাকিস্তানের সঙ্গেও ঠিক সেরকম এ থাকবে। আলাদা করে সেই সম্পর্কটা খারাপ করার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমাদের সঙ্গে পাকিস্তানের স্বার্থ সম্পর্ক আছে। যেমন-জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে, এটার তো কিছু লাভ আছে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের বেশিরভাগ লাভ যেন আদায় করতে পারি।

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

৩০ মিনিট আগে